সম্প্রতি ভারতজুড়ে বিজেপির ‘সম্পর্ক ফর সমর্থন’ কর্মসূচি চলছে বলে অভিযোগ। আর দেশটির সংসদের গত বাজেট অধিবেশনেই রাজ্যসভার তিন মনোনীত সদস্য রেখা, শচীন, সমাজসেবী অনু আগার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই রেখার পরে এবার দেশটির সংসদে আসছেন মাধুরী দীক্ষিত। আর শচীন টেন্ডুলকারের জায়গায় আসছেন কপিল দেব! এমনটাই খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
দেশটির শাসকদল বিজেপির পছন্দ মতোই যে নতুন তিন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন করবেন, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কর্মসূচিতেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দিন কয়েক আগেই মুম্বাইয়ে চিত্রতারকা মাধুরীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তারপর থেকেই বিজেপি মহলে মাধুরীর রাজ্যসভায় আসার জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০১৫ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছিলেন ডান্সিং ডিভা। রেখার মতো ‘গ্ল্যামারাস’ প্রখ্যাত অভিনেত্রীর জায়গায় মাধুরীই উপযুক্ত বিকল্প হতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। তবে শুধু রেখার বিকল্প হিসাবেই মাধুরীর নাম ভাবা হচ্ছে এমনটা নয়, এর পিছনে রাজনৈতিক কারণও রয়েছে। দেশটির মহারাষ্ট্রে শরিক শিবসেনার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বিজেপির খুব একটা বনিবনা হচ্ছে না। শিবসেনা সবসময়ই মারাঠি ভাবাবেগকে সামনে রেখে কাজ করে। সেই জায়গা থেকেই ‘মারাঠি মুলগী’ (কন্যা) মাধুরীকে রাজ্যসভায় নিয়ে এসে বিজেপিও যে মারাঠি ভাবাবেগকে মর্যাদা দিচ্ছে, এই বার্তা তুলে ধরার উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একইভাবে, কপিলের দিল্লির বাড়ি গিয়েও তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহ। শচীনের মতো লেজেন্ডের পরিবর্তে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিলদেব নামটি শুনতে ভালোই। আবার এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে। দেশটির সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কৈরানা উপনির্বাচনে জাঠ ভোটব্যাঙ্কের উপর দখল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। জাঠ সম্প্রদায়ের কপিলকে রাজ্যসভায় সাংসদ করে জাঠ রাজ্য হরিয়ানায় জাঠ ভোটবাক্স অটুট রাখা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ অধ্যুষিত এলাকায় জাঠ ভোট পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।